Header Ads

Header ADS

মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব ।

➽ মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাবঃ-
 মাদকাসক্তি সমাজের জন্য মারাত্মক ও ঘৃণ্য ব্যধি। তবুও প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পরছে মাদকের উপাদান সামগ্রী। সবাই কম বেশি বুঝি কিন্তু তবুও এসবের মাঝে জড়িয়ে যাই। আজ একটু সখে, কাল একটু সখে, পরশু একটু সখে.....এমন করে একটু একটু করে এক সময় অভ্যস্ত হয়ে পরি। আর যখন আমরা সেগুলো করতে অভ্যস্ত হয়ে পরি, তখন ধীরে ধীরে তা নেশায় পরিণত হয়। যদি কোন ব্যক্তি এমন নেশায় পতিত হয়, তখন সে আর ভাবতে পারেনা নিজের ভালমন্দ, পরিবারের ভালমন্দ, সমাজের ভালমন্দ। নেশার ঘোরে সে বিভিন্নপ্রকার অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরে। একটা পর্যায়ে তার প্রতি পরিবারের আশা-ভরসা সব ধ্বংস করে দিয়ে নিজেও ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। প্রতিটা মাদকেরই কিছু না কিছু ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান মোতাবেক সব ধরণের প্রভাব তুলে ধরা আমি অধমের পক্ষে সব সম্ভব না হলেও সুনির্দিষ্ট কিছু প্রভাব তুলে ধরার চেষ্টা করছি। নিম্নে কয়েকটি মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরলাম। আশা করি পাঠক মহোদয় জেনে মাদকের করাল গ্রাস থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।

➤ ইয়াবা সেবনের ক্ষেত্রে ঃ-
১।  স্মরণশক্তি ও মনোযোগ দেয়ার শক্তি/ক্ষমতা নষ্ট হয়।
২।  আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়।
৩।  যৌনশক্তি নষ্ট হয় ও বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
৪্ ।  মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।
৫।  লিভার ও কিডনী নষ্ট হয়ে যায়।
৬।  রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় ও হার্ট অ্যাটাক হয়।
৭।  কলহ প্রবণতা, আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।

➤ গাঁজা সেবনের ক্ষেত্রে ঃ-
১।  ভাল-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
২।  দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।
৩। মতিভ্রম হয় বা দেখা দেয়।

➤ ফেন্সিডিল বা হেরোইন সেবনের ক্ষেত্রে ঃ-
১।  পুরুষত্বহীনতা ও বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
২।  ফুসফুস ও হার্টে প্রদাহ দেখা দেয়।

 ➤ মদ্যপান এর ক্ষেত্রে ঃ-
১।  গ্যাস্ট্রিক ও আলসার হয়।
২।  লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার হতে পারে বা হয়।

➤ ধুমপান এর ক্ষেত্রে ঃ-
১।  মুখে ঘা ও ক্যান্সার হয়।
২।  ফুসফুসে ক্যান্সার হয় ও নষ্ট হয়ে যায়।
৩।  হার্ট অ্যাটাক ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।

➤ ইনজেকশনের মাধ্যমে:-
১।  এইডস, এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি হয়।

যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর, তা আমরা কেনই বা গ্রহণ করব। আসুন সবাই মাদক গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখি। নিজের জীবনকে সুস্থ ও সুন্দর রাখি। পরিবারের সকল প্রত্যাশা বা আশা-আকাঙ্খার ব্যাপরে নিজেদেরকে আরো বেশি সজাগ রাখি।

তথ্যসূত্র : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গণপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকার, ঢাকা, বাংলাদেশ।

No comments

Theme images by Lingbeek. Powered by Blogger.